শস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল অঞ্চলের তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন রসুনের ঘ্রাণ। গত বছরের মতো এ বছরও বিনা চাষে বোনা রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চলনবিলের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহাজাদপুর, চাটমোহর, ভাংগুড়া, গুরুদাসপুরে শত শত হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। মাঠে মাঠে রসুন তোলায় কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পুরুষের পাশাপাশি রসুন তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন নারীরাও।
ধানের আবাদের লাভ খুব কম হওয়ায়, এ অঞ্চলের চাষিরা রসুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিনা চাষে বোনা হলেও এবার সার-কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। তবে, ফলন ভালো হওয়ায় আশাবাদী তারা।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে উপজেলায় ৫১৭ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা রসুন চাষে বেশি ঝুঁকছেন।
জেলায় এবার ১ হাজার ৪ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। যার অধিকাংশই চলনবিল অঞ্চলে। ইতোমধ্যে ৩৫১ হেক্টর জমির রসুন কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা।