পাকিস্তান যেকোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। একইসঙ্গে আগ্রাসনের জবাব সম্পূর্ণ সামরিক শক্তির সাথে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
কাশ্মির সংহতি দিবস উপলক্ষে আজাদ কাশ্মির সফরের সময় জেনারেল মুনির একথা বলেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি কোনও আগ্রাসন বা লঙ্ঘন হলে সম্পূর্ণ জাতীয় সংকল্প এবং সামরিক শক্তির সাথে তার জবাব দেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির।
তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ হুমকি মোকাবিলায় ভালোভাবে পারদর্শী এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে চিরকাল প্রস্তুত।’ এসময় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করার দায়ে ভারতে অভিযুক্তও করেন পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির সেনাপ্রধান।
সংবাদমাধ্যম বলছে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখার সারিয়ান সেক্টরে সফরের সময় তাকে এলওসি বরাবর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
দ্য ডন বলছে, পাকিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের জনগণ ও সরকার প্রতি বছর কাশ্মির সংহতি দিবস পালন করে থাকে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুজাফফরাবাদে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে তার দুটি ছিল কাশ্মির নিয়ে। উভয় দেশই সমগ্র কাশ্মির নিজেদের বলে দাবি করলেও পৃথক দুটি অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের হাতে। দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিতর্কিত কাশ্মিরের দুই অঞ্চল লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) দ্বারা নির্ধারিত।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ওই অঞ্চলের মানুষকে ভারত কিংবা পাকিস্তানে থাকার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে গণভোট আয়োজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
কিন্তু এতদিনেও সেই প্রস্তাবনা কার্যকর হয়নি। তবে ওই গণভোটে দুই দেশে না থেকে স্বাধীন কোনও রাষ্ট্র গঠনের কোনও সুযোগ নেই।