পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের জনগণ তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। দেশটিতে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই পাকিস্তানে এবারের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে , অথচ আগের নির্বাচনে তার দলই জয় পেয়েছিল।
গতকাল পাকিস্তানজুড়ে খবর ছড়িয়েছে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে পিটিআই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, খবরটি সত্য নয়। নির্বাচনী লড়াইয়ে আছে পিটিআই।
পাকিস্তানের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা কমনওয়েলথ অবজারভার গ্রুপ (সিওজি) এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা করে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করাচির এনএ-২৫০ আসনে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটেও ভোটের সামগ্রী না পৌঁছানোর খবর জানাচ্ছে পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেল জিওনিউজ। তারা জানায় ভোটের সামগ্রী না পৌঁছানোয় ভোট কেন্দ্র গুলোতে লম্বা লাইনে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকাই কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে পারছেন না।
দেশটিতে ১৮ বছরের বেশি নাগরিক অর্থাৎ ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। চলতি বছর জাতীয় পরিষদে মোট পাঁচ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিটি আসনে গড়ে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা চার হাজার ৮০৬ জন পুরুষ প্রার্থী, আর নারী প্রার্থী ৩১২ জন। এই তালিকায় দুই ট্রান্সজেন্ডারও রয়েছেন।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৩৩৬টি, এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আর সংরক্ষিত রয়েছে ৭০টি আসন। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য।