সোমবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরও কয়েকজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরান।
স্বভাবতই বর্তমানে প্রশ্ন ওঠছে কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
রাষ্ট্রপতি তার মেয়াদকালে মারা গেলে ইরানের সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ নির্দেশ করে যে, সর্বোচ্চ নেতা (খোমেনি) দ্বারা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। খবর হিদুস্তান টাইমস
বর্তমানে মোহাম্মদ মোখবার ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনে তারই দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এরপর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট স্পিকার এবং বিচার বিভাগীয় প্রধানের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিলকে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। মোহাম্মদ মোখবার নিজেও এই কাউন্সিলের একজন সদস্য।
মোহাম্মদ মোখবারের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫ সালে। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন। মোখবার ২০২১ সালে রাইসির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
গত অক্টোবরে মস্কোর সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে মিসাইল এবং ড্রোন রপ্তানির যে চুক্তি ইরান করেছিল সেখানে মোখবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই প্রতিনিধি দলে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা ছিলেন। ইরানের বেলাস্টিক মিসাইল কর্মসূচির ফান্ডিং কার্যক্রমেও মোখবার জড়িত ছিলেন।
রাইসির হঠাৎ মৃত্যু ইরানি সরকার ব্যবস্থায় এই জরুরি অবস্থা দেখা দিল। ৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটির মোরালিটি বা নৈতিকতাবিষয়ক আইন কঠোর করার নির্দেশ দেন। কট্টরপন্থী হওয়ার কারণে তিনি সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও পড়েন। অনেকে মনে করতেন, রাইসি নিজেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন।