স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরায়েলকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এমনটাই বলেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি ‘দখলদারি অপরাধের’ও সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সালমান বলেছেন, ‘পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সৌদি আরব। এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া পর্যন্ত আমরা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আর আমরা অঙ্গীকার করছি যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না।’
শুরা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন যুবরাজ। বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বার্ষিক এই বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। ভাষণের আগে যুবরাজের সামনে শপথ গ্রহণ করেছেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে যে, তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন।
যুবরাজের শেষ বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রচেষ্টা ধোপে টিকবে না।
গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে যুবরাজ সালমান জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল-সৌদি একটা চুক্তির সন্নিকটে আছে।
ওই দুই সূত্র রয়টার্সকে আরও বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কিছু বিলম্ব হবে। রিয়াদের জন্য এই আলোচনার সবচেয়ে লাভজনক দিক হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ যেটা ধারণা করছেন, তা হলো, এর বিনিময়ে মার্কিনিদের সঙ্গে একটা প্রতিরক্ষা চুক্তির দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।