ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জনে। এর মধ্যে ২৪ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং দুইজন প্যারামেডিক সদস্য রয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৬৪৫ জন।
২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পর সোমবারই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার দিন দেখল লেবানন। খবর বিবিসির।
বিবিসি জানায়, লেবাননে হাজার হাজার লোক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর এক হাজার ৩০০ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননের লোকজনকে দ্রুত সম্ভব নিরাপদে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার লোকজনকে হিজবুল্লাহ অধ্যুষিত এলাকা ছেড়ে দূরে চলে যেতে বার্তা দিয়েছে।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার আলি কারাকিকে লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। প্রথমে কিছু জানা না গেলেও পরে হিজবুল্লাহ জানায়, কারাকি ভালো আছেন, তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলে দুই শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এমনটি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরও অল্প কিছু সেনা পাঠাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, মানুষ যাতে নিরাপদে তাদের ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য সংঘাত কমানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।