ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলা নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার (৯ অক্টোবর) ফোনে ৩০ মিনিট আলাপ করেছেন তারা। হোয়াইট হাউজের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এই সংলাপের খবর এমন সময় এলো যখন লেবাননের হিজবুল্লাহ সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীকে পিছু হটানোর দাবি করেছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনাটি ‘সরাসরি ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ ছিল। তিনি এটিও স্বীকার করেন, দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধ ছিল এবং তারা সেগুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে উন্মুখ।
বাইডেন-নেতানিয়াহুর মধ্যে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার কোনও তাৎক্ষণিক বিবরণ না দিয়ে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
ইসরায়েলের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই নেতা ‘ফোনে একটি ইতিবাচক আলাপ করেছেন এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রশংসা করেছি।’
পরে হোয়াইট হাউজ বলেছিল, এই জুটি আগামীতে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে সম্মত হয়েছিল। এসময় বাইডেন নেতানিয়াহুকে লেবাননে বেসামরিক ক্ষতি কমানোর অনুরোধ করেছিলেন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বাইডেন আবারও ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার নিন্দা করেছেন, গাজায় নতুন করে কূটনীতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
গাজা ও লেবানন ইস্যুতে ইসরায়েলি নেতার অবস্থান নিয়ে বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র শত্রুতা বাড়াতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলের বছর পুরনো সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চিরশত্রু ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য মূল্য চুকাবে। অন্যদিকে তেহরান সতর্ক করেছে, যে কোনও ধরনের প্রতিশোধ নিলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে। পাল্টাপাল্টি হুমকির ফলে তেল উৎপাদনকারী এই অঞ্চলে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা জাগিয়েছে।