ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকের মৃতের সংখ্যা বেড়ে শুক্রবার পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে। আঙ্কারা তুর্কি কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আন্ত:সীমান্ত অভিযান জোরদার করার প্রেক্ষিতে এই নিহতের ঘটনা ঘটলো। স্থানীয় কর্মকর্তারা একথা জানান। খবর এএফপি’র।
বাগদাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তুরস্ক বুধবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় স্থল ও বিমান হামলা শুরু করে।
তুরস্কের এ অভিযানের নাম ‘ক্লাউ-টাইগার’। ইরাকের এ অঞ্চলে বিদ্রোহী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে।
দোহুক প্রদেশের চিলাদজির মেয়র উয়ারচিন ময়ি জানান, শুক্রবার তুর্কি বিমান হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে এই লোকেরা প্রাণ হারায়।
আরেক স্থানীয় মেয়র সার্বাস্ত সাব্রি জানান, চতুর্থ এক বেসামকি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হলো।
ইরাকের উত্তরের স্বায়ত্বশাসিত কুর্দি অঞ্চলের কর্মকর্তা ইহসান চালাবি এএফপি’কে বলেন, ব্রাদস্ত জেলায় বৃহস্পতিবার তুরস্কের বিমান হামলায় এক মেষপালক নিহত হয়েছে।
তুরস্কের বিশেষ বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইরাকের কুর্দিস্তানে অবতরণ করে। এ অঞ্চলে দুর্গম পার্বত্য এলাকার গোপন আস্তানায় লুকিয়ে
থাকা পিকেকে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করতে তারা সেখানে এ অভিযান চালায়। সূত্র: বাসস