এ বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চলতি অর্থবছরে উল্লিখিত মূল্যে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। এসময়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে। এছাড়া আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে ১ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, গত বছর আমন ধান ও চালের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬ ও ৩৬ টাকা।
বিবার (৩১ অক্টোবর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী ডা: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি প্রকৃতি ও অঞ্চল নির্ভর। দেশে ধানের পাশাপাশি পেয়াজ, রসুনসহ আরো বেশকিছু কৃষিপণ্য দেশে উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত হয়। দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বোপরি নন হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার, পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। ইতোমধ্যে বোরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খাদ্যপণ্যসহ আরো বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরো বাড়বে।
সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন এবং খাদ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।