মশা মারার ওষুধ বিটিআই নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেটের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে মশক নিধনে সচেতনতা কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মার্শালের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মার্শাল এগ্রোভেট যেহেতু দাবি করেছে তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে এজন্য তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কোন কোম্পানি থেকে এনেছে, কার মাধ্যমে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্ল্যান প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী এই বিটিআই যে কেউ আমদানি করতে পারবে। ফলে সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে তাদেরই কাজ দেওয়া হয়। আমাদের মাত্র পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। তবে আমাদের প্রয়োজন হবে হাজার টন। এটা আনার পরে জাহাঙ্গীরনগর কীটতত্ত্ব বিভাগে পরীক্ষা করা হয়, সেখানে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। পরে ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআর সবাই এটাকে কার্যকর বলেছে। চাইলে বিটিআই সংগ্রহ করে যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে এটা কার্যকর কি না।’
সাম্প্রতি মশা মারতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস সেরোটাইপ ইসরায়েলেন্সিস (বিটিআই) নামক কীটনাশক ব্যাকটেরিয়া আনে।
বিটিআই এক ধরনের জৈবিক লার্ভিসাইড যা কার্যকরভাবে মশা ও মাছির লার্ভাকে ধ্বংস করে। এ ধরনের কীটপতঙ্গের বংশবৃদ্ধির জলজ আবাসস্থলে এই কীটনাশক প্রয়োগ করলে এটি মশা-মাছির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিটিআই ব্যবহারে মানুষ, পোষা প্রাণী, গবাদি পশু এবং উপকারী পোকামাকড়ের ক্ষতি হয় না।