বিগত সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স চালু করা হয়। কূটনীতিতে অবদান রাখা একজন দেশি ও একজন বিদেশি কূটনীতিককে এ পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু হয়। পরবর্তী পরিস্থিতিতেও এ পুরস্কার প্রথা চালু রাখছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে পুরস্কার থেকে বাদ পড়ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম, সেখানে যুক্ত হয়েছে ‘বাংলাদেশের’ নাম।
এবার বিদেশি কূটনীতিকের মধ্যে এ পুরস্কার পাচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। তবে দেশীয় কোনো কূটনীতিককে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না।
কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকার একটি সূত্র জানায়, সৌদি রাষ্ট্রদূতের ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদির বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হতে পারে।
স্থানীয় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশ যুক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবে এ পরিবর্তন এসেছে। বিগত সরকারের সময়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে এ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনা করে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে উপযুক্ত মনে করছে, সেজন্য তিনি এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
দেশীয় কূটনীতিকের পুরস্কার না পাওয়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় কূটনীতিকরা বলছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার তিন দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেশীয় কোনো কূটনীতিককে পুরস্কৃত করতে গেলে বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলের কর্মযজ্ঞ আমলে নিয়ে করতে হবে। যা পরবর্তীতে এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন আসতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, খুব শিগগিরই দায়িত্ব শেষে ঢাকা ছাড়বেন রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। তিনি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে সৌদিতে রেকর্ড সংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বাংলাদেশে সৌদির বিনিয়োগে আসাতেও অবদান রয়েছে রাষ্ট্রদূতের।