চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন শিক্ষার্থীদের কাছে যেন অমাবস্যার চাঁদ। আগের উপাচার্যরা একাধিকবার সমাবর্তনের ঘোষণা দিলেও সম্পন্ন করতে পারেনি। চবির সমাবর্তন নিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের গেল বছরের ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তনের ঘোষণা দিলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে বর্তমান প্রশাসন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতারের নেতৃত্বে খুব গুরুত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সমাবর্তন বাস্তবায়নে কাজ করছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতারের মতে, আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী, আমরা করে দেখাতে চাই।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ডি. লিট. সম্মাননার মধ্য দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত ৫ম সমাবর্তন উদযাপিত হবে। ইতিমধ্যেই আমরা কমিটি করে দিয়েছি আমাদের সমাবর্তন কেন্দ্রিক বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, চবিতে এ পর্যন্ত চারবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পিএইচডি-এমফিলসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নেয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সাত হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটিই ছিল চবির সবচেয়ে বড় সমাবর্তন।
এর আগে তৃতীয় সমাবর্তন হয় তারও আট বছর আগে ২০০৮ সালে। প্রথম সমাবর্তন হয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার সমাবর্তন হয় আরও পাঁচ বছর পর ১৯৯৯ সালে।