প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের মডেল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে কুমিল্লার দাউদকান্দির মৎস্য প্রকল্পগুলো। বছরের এসময়ই কোটি কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হয় প্লাবন ভূমির এসব প্রকল্পগুলোতে। এখানকার মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে হিংসভাগ চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ভূমি মালিকদের অংশীদারিত্বে চলে প্রকল্পগুলো। মাছ চাষে এলাকার সকল পরিবারে এসেছে আর্থিক সাফল্য, দূর হয়েছে বেকারত্ব। তবে ম্যৎস বিভাগের সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ চাষীদের।
‘প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ, দিন বদলের সু-বাতাস’ এই স্লোগানে ১৯৯৫ সালের বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে থাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেষে দাউদকান্দির অনাবাদী বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয় প্রথম মাছ চাষ। রুই, কাতল, মিগেল, পাঙ্গাস, পুটি, তেলাপিয়া ও ঘাসকাপসহ আরো বেশ কয়েক প্রজাতির দেশি মাছ চাষ হয়ে থাকে। আটটি প্রকল্প দিয়ে শুরু মাছ চাষে এখন প্রায় ১০০টির বেশি প্রকল্প রয়েছে।
এসকল প্রকল্পগুলো থেকে উৎপাদন হয় প্রায় এক লাখেরও বেশি মেট্রিক টন মাছ। যা বিক্রি হয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এতে কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী হয়েছে এলাকার পরিবারগুলো। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহজ শর্তে ঋন পেলে বাড়বে চাষ ও উৎপাদন। চাষীরা প্রত্যাশা, মাছ বিদেশে রফতানি করতে সরকার পদক্ষেপ নিবে। দাউদকান্দি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জানান চাষীদের সকল ধরনের সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে।
দাউদকান্দিতে ১৯ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমি থাকলেও মাছ চাষ হয় আট হাজার হেক্টরে। সরকারি সহায়তা পেলে তা আরো বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ হলেও ২০২১ সালে প্রথম হওয়ার জন্য এসব প্লাবনভূমিতে চাষ বাড়ানো প্রয়োজন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি