বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৮বছর।
ময়মনসিংহে ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান সংগঠক, যুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ময়মনসিংহ শহরেই কেটেছে সৈয়দ আশরাফের শৈশব।
বাবা সৈয়দ নজরুলের রাজনৈতিক পদচারণ দেখতে দেখতেই রাজনীতির হাতেখড়ি তার। শুরু ছাত্রলীগ দিয়ে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরে হন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রচার সম্পাদক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তরুণ সৈয়দ আশরাফ দেশের জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর খুনীরা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। এরপর সৈয়দ আশরাফ লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ছিলেন কমিনিউটি যুবলীগের সদস্য। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনেও যুক্ত হন তিনি।
১৯৯৬ সালে দেশে এসে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯সালের এই দিন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাংককে মৃত্যুরসাথে পাঞ্জা লড়তে থেকেও ৩০ ডিসেম্বর (২০১৮) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের নৌকা প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেন।