উপকূলীয় ও সিলেট এলাকায় এখনও যেসব জমি অনাবাদি রয়েছে তা চিহ্নিতকরে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়-সে ব্যাপারে দ্রুত ‘টিম গঠন’ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাকসবজি, আলু, ভুট্টা, গমসহ ফলমূলের উৎপাদনও অনেক বেড়েছে। কিন্তু মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলতে চালকেই বুঝে। সেজন্য চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় এখনও অনেক অনাবাদি পতিত জমি আছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে কত জমি অনাবাদি আছে, তার কতটুকু চাষের আওতায় আনা যায়-তা স্টাডি করে দেখতে হবে। সেখানে সেচের পানির অভাব রয়েছে। তবে ভূ-উপরিস্থ পানির জন্য কয়েকটা নদী রয়েছে। পাম্প ব্যবহার করে নদীর পানি কীভাবে সেচের জন্য কাজে লাগানো যায় তা স্টাডি করে বের করতে হবে। যাতে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মন্ত্রী এ সময় সিলেট এলাকার অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য দ্রুত ‘টিম গঠন’ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের কাজে সবার সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মাঠের অবস্থা, উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উৎপাদন বাজারে কী প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। প্রকল্পের কাজে তাঁদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।