মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সরকার সকল সহযোগিতা করবে। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে সেটা সরকার সমাধান করবে। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও সরকার বিবেচনা করবে। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরির শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ সরকার কমাতে পারবে এবং কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবে। একইসাথে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকগণ যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এর নেপথ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি এমন একটি খাত যেখান থেকে জনগণ মাংস ও ডিম পাচ্ছে। এ খাত থেকে খাবারের একটা বড় অংশের যোগান আসছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। দেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় খাত হবে পোল্ট্রি খাত।
মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার এবং একাধিকবার মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাজনিত সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪ জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪ জন, বার্তা সংস্থা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন, পোল্ট্রি ও কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।