একটা সময়ের তাঁতের খটখট শব্দে মুখরিত থাকতো রংপুর শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গঙ্গাচড়া উপজেলায় গড়ে ওঠা এই বেনারসি পল্লীটি। কয়েক বছর আগেও এখানকার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় এক হাজার হস্তচালিত তাঁত ছিলো। তবে আধুনিক বুনন যন্ত্রের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে এবং পুঁজির অভাবে সে সংখ্যা এখন ১০ থেকে ১৫টিতে নেমে এসেছে।
এদিকে, তাঁতপল্লীতে গড়ে উঠেছে বেশকিছু বেনারসির শোরুম। যেখানে কম দামে ব্যবসায়ীরা রংপুরের বেনারসি শাড়ির কথা বলে ঢাকাই বেনারসী পল্লীর পণ্য বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে। অন্যদিকে, দিন দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হস্তচালিত স্থানীয় তাঁত কারখানাগুলো। এর ফলে কাজ না থাকায় অনেকেই বাপ-দাদার পৈতিক পেশা ছেড়ে ঝুঁকছেন অন্য পেশায়। কিন্তু দীর্ঘদিনের এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে থাকা শ্রমিকরা জানালেন সরকারি সহযোগিতার কথা।
আর অর্থাভাবে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে প্রশিক্ষণ, বিক্রয় ও প্রদর্শনীর জন্য বেনারসি পল্লীতে গড়ে ওঠা এই বিসিক অফিসের কার্যক্রম।
তবে মূলধনের ঘাটতির কথা অকপটে স্বীকার করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপকমো. শামীম হোসেন জনান, শিগগিরই বেনারসী পল্লীর উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা জানান।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বন্ধ অফিস খোলার মাধ্যমে রংপুরের এই ঐতিহ্যবাহী বেনারসী শিল্পকে টিকিয়ে রাখার দাবি তাঁতিদের।