কুমিল্লায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান একজন। সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে রাতের মধ্যে জেলার বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
রবিবার জেলার তিতাস ও বুড়িচং উপজেলায় মারা যান আরও তিন জন। এ ছাড়া বন্যার শুরু থেকে পৃথক সময়ে মারা যান আরও ছয় জন।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার জানান, সোমবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলা সদর ও পশ্চিমসিংহ এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে হাসিবুল (১০) ও ইব্রাহিম (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
আড়
সোমবার বিকালে নাঙ্গলকোট উপজেলার গোরকমুড়া এলাকায় সেরাজুল এবং রাতে মনোহরগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দু্জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আওশপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান মাকসুদা বেগম (৫৫) নামে এক নারী।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’