কুড়িগ্রামে ইতোমধ্যে পানি কিছুটা কমলেও এখনও ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯১ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়ায় ৮১ সেন্টিমিটার এবং ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নতুন করে চিলমারী উপজেলা শহর প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও থানা চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।
জেলার ৫৬ ইউনিয়নের ৪৭৫ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাঁধ, রাস্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই দফা বন্যায় জেলায় ১০ শিশু, এক যুবক ও দুই বৃদ্ধ পানিতে ডুবে মারা গেছেন। ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। টানা পানিতে থেকে এবং বিশুদ্ধ পানির সংকটে জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধি দেখা দিয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, বন্যাকবলিত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তবে বন্যার্ত মানুষের অভিযোগ তারা সরকারি টিমের দেখা পাচ্ছেন না।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রিত বানভাসিদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে ঘরে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে ৪০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ১৭০ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা, ৪ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেটের মধ্যে ২ হাজার প্যাকেট, ২ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ২ লাখ টাকার গো-খাদ্য উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবারহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: ইউএনবি