বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ হয় শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। মোট আবেদন পড়ে ৫৬১টি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয় শুনানি। আপিল আবেদনের তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, অধিকাংশ আপিলই স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংক্রান্ত বিষয়ে গরমিলে। আর দলীয় প্রার্থী যারা আপিল করেছেন তাদের সমস্যা দ্বৈত নাগরিকত্ব।
ইসি সূত্র জানায়, ৫৬১টি আবেদনের মধ্যে ৩২টি আবেদন পড়েছে বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে। অধিকাংশ বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আপিল করেন ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সাদিকের বিরুদ্ধেও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে তার মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কে বি এস আহমেদ এ আবেদন করেন। আপিলে সাদিক আব্দুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ভোটার হিসেবে উল্লেখ করে সেখানকার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।