তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ, দূরদৃষ্টি ও দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের উন্নয়নের ধারা সচল রেখে বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর- ই- আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে করোনা মহারির সংকটে আর্থ- সামাজিকভাবে পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ১লাখ ২১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার প্রনোদনা দিয়ে করোনা সংকটের মধ্যেও সাধারণ মানুষের জীবন মান এবং আর্থ- সামাজিক ব্যবস্থা সচল রেখেছে। যার ফলে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং উপমহাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ সময়ে পৃথিবীর সব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে জিডিপি গ্রোথ পজিটিভ। আর তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা তৃতীয়।
তিনি বলেন, যেই দেশে মানুষের ঘনত্ব সর্বোচ্চ, কৃষি জমির পরিমাণ ও মাথাপিছু পৃথিবীতে সর্বনিম্ন। যে দেশে ঝড়, বন্যা, জলবায়ু পরিবর্তন নিত্যসঙ্গী সেই করোনা মহামারির মধ্যে পৃথিবীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ অবস্থান বিশাল অর্জন। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ওপরে রয়েছে গায়ানা এবং সাউথ সুদান। এ দুটি দেশের লোকসংখ্যা কম এবং অর্থনীতির আকারও ছোট। সেদিক বিবেচনায় আনলে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে রয়েছে।
আশপাশের দেশের সাথে তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ১০, পাকিস্তানে মাইনাস ০ দশমিক ৩৮, শ্রীলংকা মাইনাস ৪ দশমিক ৫৫, ভুটানে প্লাস ০ দশমিক ৫৭, নেপাল ০ দশমিক ০২, আফগানিস্তান মাইনাস ৫। অর্থাৎ আশপাশের সকল দেশে মাইনাস কোন কোন দেশে প্রায় একই জায়গায় রয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমেরিকার বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গের মতে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এ উপমহাদেশে তৃতীয় এবং পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ২০তম।