বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র দিয়েই তার অভিনয়ে যাত্রা শুরু। তবে প্রথমেই অভিনেত্রী নয় বরং একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার অভিষেক হয়। ১৯৬১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনেতা আজিমের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি।
তবে ঢাকাই সিনেমার গুণী অভিনেত্রী আনোয়ারা বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। তিনি কাউকে চিনতে পারছেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারার মেয়ে অভিনয়শিল্পী রুমানা ইসলাম মুক্তি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে আনোয়ারার এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানান তার মেয়ে।
এদিকে মুক্তি গণমাধ্যমকে জানান, ‘মায়ের অবস্থা ভালো নয়। কাউকে চিনতে পারছিলেন না কয়েকদিন ধরে। চোখেও ঝাপসা দেখছিলেন। কিছুদিন আগে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়।
মুক্তি আরও জানান, এমনকি তিনি তাকেও চিনতে পারছিলেন না । তবে আল্লাহর রহমতে এখন একটু ভালো। এখন বাসায়ই চিকিৎসা চলছে তার। ডাক্তার বলেছেন, ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।’
জানা যায়, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগমের গত ১১ মার্চ রাতে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তখন ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে টানা ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সম্প্রতি বাসায় আনা হয় তাকে।
এদিকে চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আনোয়ারাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে রাষ্ট্র। বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হল অব ফেম মিলনায়তনে বসা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’–এর আসরে এই পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। আনোয়ারার হয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তার মেয়ে মুক্তি।