ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যিনি মেগাস্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েক দশক ধরে রাজত্ব করছেন এই সুপারস্টার। নায়ক মান্নার পর শাকিবই ধরেছিলেন ঢাকাই ছবির লাগাম। দর্শককে টেনেছেন সিনেমা হলে।
নায়ক মান্নার পর শাকিবই ধরেছিলেন ঢাকাই ছবির লাগাম। দর্শককে টেনেছেন সিনেমা হলে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হয়ে নিজের নায়কোচিত সম্ভাবনাকে প্রমাণ করে চলেছেন এই নায়ক।
ঢালিউড সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসে আছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন। ১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন শাকিব।
শাকিবের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। শাকিবের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসায় আপ্লুত হন শাকিব।
১৯৯৯ সালের কথা। আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মধ্যে। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এই অভিনেতা। ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, খোদার পরে মা, আরো ভালবাসবো তোমায় ও সত্ত্বা ছবিতে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান।
এই চিত্রতারকা রাজার মতই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চলচ্চিত্র অঙ্গন। শুধু ঢালিউড নয়, শাসন করছেন টালিউডও। ঢাকা-কলকাতা দুই বাংলাতেই গড়ে উঠেছে শাকিবের ফ্যান ফলোয়ার। সিনেমা হলগুলোর কাছে আজো শাকিবই শেষ ভরসা। জন্মদিনে সুপারস্টার শাকিব খানকে বিজয় টিভির অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।