গণঅভ্যুত্থানের পর গত চার মাসে বিভিন্ন অপরাধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৬ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সমসাময়িক বিষয় এবং সাম্প্রতিক আভিযানিক কার্যক্রম সম্পর্কে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন- ফ্যাসিবাদ বিদায় হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি: নজরুল ইসলাম খান
র্যাব বিলুপ্ত ইস্যু নিয়ে একেএম শহিদুর রহমান বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি এবং করবো। তবে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নিতে বাধ্য।
আয়নাঘর ইস্যু নিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, গুম খুন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করছে। র্যাবের আয়নাঘর ছিল এবং আছে। জঙ্গি তৎপরতা ছিল, ভবিষ্যতে যাতে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে নজরে রেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।