ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে পালিত হচ্ছে মুসলিমদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।
সোমবার (১৭ জুন) জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের প্রথম জামাত। এছাড়াও সারা দেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দ ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বজনীন করার বার্তা দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আর ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসর্গ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে তার মনের পরিশুদ্ধিতা অর্জন করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও। (সুরা হজ: ৩৪)
এদিন জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ নামাজ আদায় করেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। পুরুষের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী নারীরাও।
বিশ্বশান্তি আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ঘুঁচে সুখি একটি পৃথিবী গড়ার প্রার্থনা করে ঘরে ফেরেন মুসল্লিরা। এর আগে আষাঢ়েও মেঘমুক্ত আকাশকে সঙ্গী করে দলে দলে মানুষ আসতে থাকেন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।
ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেছেন। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলবে ঈদের জামাত। নামাজ আদায় করে হাসিমুখে কোলাকুলি ও করমর্দনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশুর কোরবানি করবেন।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বমুসলিমদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।