পেয়ারার মৌসুমকে কেন্দ্র করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সরগরম থাকে ঝালকাঠির ভীমরুলীর ভাসমান হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটকে ঠাসা থাকে হাট এবং এর আশপাশের এলাকা।
চাষিরা ছোট ছোট নৌকা করে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসেন। আর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা তা কিনে ট্রলার অথবা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যান। কিন্তু, এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের প্রভাব পড়েছে হাটে। পাইকার ও পর্যটকদের তেমন দেখা মিলছে না। ফলে, উৎপাদিত পচনশীল এ পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষি ও পাইকাররা।
এ বিষয়ে কথা বললে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, লকডাউনে এ পণ্যটি পরিবহনে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠিতে প্রতিবছর প্রায় ৭৫০ থেকে ৮শ’ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। যা থেকে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয় ১০ হাজার কেজি পেয়ারা।