চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৌসুমের শুরুতে বাজারে আলুর দর চড়া থাকলেও বিক্রি করেনি কৃষকরা। বেশি লাভের আশায় হিমাগারে আলু মজুদ করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা । তবে বাজারে আলুর দর নিম্নমুখী হওয়ায় পাল্টে গেছে সে চিত্র ।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, ভালো দাম পাওয়ার আশায় ঋণ নিয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন তারা। কিন্তু আলুর দাম কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একমাত্র হিমাগার এগ্রো মহানন্দা কোল্ড স্টোরেজের কিছু শ্রমিক জানান, আলুর দাম নেই। তাই ব্যবসায়ীরা স্টোরেজ থেকে আলু বের করছেন না। আর আলু বের না করার কারণে তাদেরও কাজের সংকট দেখা দিয়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
তবে কোল্ড স্টোরেজ কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতিকেজি আলুতে হিমাগার খরচসহ সাড়ে ১৯ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাজারে আলুর দাম ১০-১১ টাকা কেজি। এ কারনে কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ সকলেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গত বছর আলু ব্যবসায়ী ও কৃষকরা অস্বাভাবিকহারে লাভ করেছেন। ফলে চলতি বছরে জেলায় আলু চাষের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অন্যবারের মতো এবার বৃষ্টি ও বন্যায় বিভিন্ন শাকসবজিও নষ্ট হয়নি। এর ফলে আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি ও শাকসবজির বাম্পার ফলনে আলুর দাম কমেছে বলে মনে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
নতুন আলু উঠতে এখনো ৪ মাসের বেশি সময় রয়েছে। এ সময়ে আলুর দর ফের বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।