কয়েক দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারণে এ বছর নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় বিকল্প পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে শাক-সবজির আবাদ। ভাসমান পদ্ধিতে সার, কীটনাশকসহ বাড়তি খরচ না থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও দেয়া হচ্ছে নানা নির্দেশনা। নেত্রকোনা প্রতিনিধি মো. জহিরুল ইসলাম খানের পাঠানো তথ্য-চিত্রে ডেস্ক রিপোর্ট।
জেলার পূর্বধলা উপজেলার দিগজান গ্রামের কোমা বিলে একসময় ভরে থাকতো কচুরিপানায়। সেখানে এখন শুরু হয়েছে ভাসমান পদ্ধতিতে শাকসবজির আবাদ। স্থানীয় কৃষকরা এ পদ্ধতিতে আবাদ করেছে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ, শসা, টমেটোসহ অন্যান্য সবজি। সাথী ফসল হিসেবে করেছেন চাল কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঢেড়শ, লালশাক, পালংশাক ও কলমিশাক।
অসময়ে উৎপাদিত এসব বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। তারা জানান, ভাসমান পদ্ধিতে সার, কীটনাশকসহ বাড়তি খরচ নেই। কাঠা প্রতি বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষাবাদ করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় করছেন তারা। তবে, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ পচনশীল এসব সবজি সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনের দাবী তাদের।
এদিকে, এই এলাকায় ভাসমান পদ্ধিতে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি আবাদে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ভাসমান এ পদ্ধতিতে অসময়ে শাকসবজির চাষাবাদ হাওরাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে দিলে একদিকে যেমন মিটবে চাহিদা অন্যদিকে ফিরে আসবে কৃষকদের স্বচ্ছলতাও।