বাংলাদেশ-কসোভোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানির বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন মিটিংয়ের আহবান জানান বাংলাদেশ নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের ঊরেয়া (Guner Ureya)। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি এবং শিল্প কারখানা সম্প্রসারণে এই যৌথ কমিশন মিটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর সাথে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত আজ এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং কসোভোর রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে ফুড প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি উৎপাদিত পণ্য এবং উৎপাদিত কাঁচামাল রপ্তানির আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন মিটিংয়ের আগে উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে আলোচনা ও সফরের প্রয়োজন। এ সফরের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণে উভয় দেশে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা জানা যাবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কসোভোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি রপ্তানি সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ আন্তরিক। তিনি অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ তা যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। তিনি আরো বলেন, তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বাংলাদেশ থেকে কসোভোয় রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমাদানি করতে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সে দেশের সরকারকে আহবান জানান।
সাক্ষাতকালে কসোভোর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী উদ্যাপনে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ এবং কসোভোয় শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন।