সুনামগঞ্জে শীতের শুরুর দিকে বাজারে সবজির দাম চড়া থাকলেও এখন পানির দরেও তা বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। প্রতিদিন ভোর থেকে নৌকাবোঝাই করে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি নিয়ে আসলেও দিন শেষে সেসব নিয়ে পুনরায় ফেরত যেতে হচ্ছে তাদের। এদিকে, বাজারে দাম না থাকায় বড় বড় আড়তদাররাও লোকসানের ভয়ে সবজি কিনছেন না। ফলে, এসব উৎপাদিত সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সুনামগঞ্জের কৃষ্ণ নগরের কৃষক রেনু মিয়া। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সবজির চাষ করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সবজি বিক্রি করে যে টাকা লাভ হবে সেই টাকা দিয়ে একমাত্র মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিবেন। কিন্তু, তার সে আশায় গুড়েবালি! বাজারে সবজির দাম এতটাই কমেছে যে এখন পানির দামেও সবজি বিক্রি করতে পারছেন না তিনি।
এমনই অবস্থা এলাকার অন্য কৃষকদেরও। অধিক পরিমাণে শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য সবজি উৎপাদিত হলেও বাজারে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। ফলে, পঁচনশীল এসব সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়। গাজর কেজিতে ১০ টাকা, শিম ১০, টমেটো ২-৩, মুলা হালিতে ৪ এবং বেগুন ১৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করা হচ্ছে। সবজি বাজারের সভাপতি জানান, সবজি ক্ষেত করতে যে পরিমাণ টাকা কৃষকদের খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও সবজি বিক্রি করে তুলতে পারেননি তারা। ফলে, অনেক কৃষকই নিঃস্ব হয়েছেন।
শুধু কৃষকরাই নন, সবজির দাম কমে যাওয়ায় এ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদেরও প্রতিদিন গুণতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ লোকসান।