ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিয়াকুল, দেউরি, কীর্ত্তিপাশা গ্রামে এবার খিরা ও মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় আশপাশের এলাকার কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এসব সবজি চাষে। কিন্তু, নদীতে ব্রিজ না থাকায় পণ্য পরিবহন, সার সংকট ও ইঁদুরের আক্রমণে অনেক ক্ষেত্রে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিয়াকুল গ্রামে ক্ষেতের পর ক্ষেত শুধু খিরা আর মিষ্টি কুমড়ার সমাহার। এই গ্রামে শতাধিক চাষি এ দু’টি সবজির চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
শুধু দিয়াকুলই নয়, সদর উপজেলার দেউরি, কীর্ত্তিপাশাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামেই এবার খিরা ও মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে, ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এসব সবজি চাষে। অনেকে আবার কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শও নিচ্ছেন।
তবে, কৃষকরা জানান, নদীতে ব্রিজ না থাকায় তাদের পণ্য পরিবহনে সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া, সারের সংকট ও ইঁদুরের উৎপাতে ফলন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সারের সংকট কেটে গেলে ফলন আরো ভালো হবে বলেও জানান তারা।
এদিকে, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ অঞ্চলে খিরা ও মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হওয়ায় চাষিদের নিয়মিত পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন তারা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার সদর উপজেলার ৪৮ হেক্টর জমিতে ৮১৬ টন খিরা এবং ২৯০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৩৫০ টন মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত এ খিরার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার মূল্য ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।