বেত দিয়ে চমৎকার সব ডিজাইনের শীতল পাটি তৈরীতে বিখ্যাত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার হিঙ্গানগরসহ এর আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। এখানকার কারিগররা বুনন কৌশল ও কাজের দক্ষতায় যেকোন সাধারণ পাটিতেও ফুটিয়ে তোলে জীবজন্তু, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, ফুল, লতাপাতা, মিনার, মসজিদ, নৌকা, পালকীসহ নানা ডিজাইনের জ্যামিতিক নকশা। শীতল পাটি ঠান্ডা ও আরামদায়ক হওয়ায় গরম বাড়ার সাথে সাথে বর্তমানে বেড়েছে এর চাহিদাও।
এক সময় টাঙ্গাইলের পাটি দেশের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। তবে, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও পুঁজির অভাবে এই শিল্প থেকে সরে আসছেন কারিগররা। কিন্তু, বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে এখনো অনেকে এই পেশার সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে পাইকাররা না আসায় চিন্তিত তারা।
এদিকে, সম্ভাবনাময় এ পাটি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান আটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক।
প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা পেলে টাঙ্গাইলের শীতল পাটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আবারও তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে, এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।