কুঁড়িগ্রামে করোনা মহামারিতে দুর্ভোগের কবল থেকে পরিবারকে বাঁচাতে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজের চাষ শুরু করেছেন তিন শিক্ষার্থী। জেলায় এই প্রজাতির তরমুজের চাষ তারাই প্রথম শুরু করেন।
গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি, রোপন করা হয়েছে বীজ। প্রায় আশি হাজার টাকা খরচ করে দুই মাসের মধ্যেই উঠাতে পেরেছেন হলুদ রঙের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ। এসব তরমুজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ মিটিয়ে এক লাখ টাকার উপরে আয় তাদের।
নিজেদের পাশাপাশি অন্য তরুণদেরও এই কাজে আগ্রহী করার চেষ্টায় রয়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তারা।
এদিকে, উপজেলায় প্রথমবার এ জাতের তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি পদ্ধতি জেনে নিজেরাও চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
অন্যদিকে, এর চাষ বাণিজ্যিকভাবে প্রসার করা গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে বলে মনে করছেন রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক।
স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ায় অন্যরা উদ্বুদ্ধ হয়ে এ তরমুজ চাষে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম।
কুঁড়িগ্রামে প্রথম আবাদ করা গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজের চাষ দেশের অন্যান্য জেলায়ও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করছেন ওই তিন তরুণ উদ্যোক্তা।