জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগ, ফরমালিনের অভিযোগে নষ্ট এবং নিরাপদ উৎপাদন নিশ্চিত না হওয়ায় বিদেশে আম রফতানি বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে আম উৎপাদন, পরিচর্যা ও বাজারজাত করতে হয় চাষিদের। বাম্পার ফলনেও আশাবাদী হতে পারছেন না চাষিরা; তবে গত কয়েক বছরে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন।
ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত আম বিদেশে রপ্তানিযোগ্য ও শতভাগ নিরাপদ। এছাড়াও ব্যাগিং করা আম আকর্ষণীয়, দাগহীন ও পুরোপুরি কীটনাশকমুক্ত হয়। তাই আমচাষী, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও ভোক্তার স্বার্থে ফ্রুট ব্যাগিং-কে কৃষি পণ্য ঘোষণা করার দাবি জানান শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ও আম রপ্তানিকারক ইসমাঈল খান শামিম।
(ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন নিচের লিংক এ)
গতবছর জেলায় পৌনে ৮ কোটি আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়। এবছর তা বেড়ে ১০ কোটি আমে ফ্রুট ব্যাগিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় এ বছর প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানের প্রায় ২৭ লাখ গাছ থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।