পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান অর্থকরী ফসল চা হলেও অপার সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে আনারসের ব্যাপক উৎপাদন ও চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানার শত শত পাহাড়ি টিলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে হ্যানিকুইন, জাইরকিউ ও জলডুবিসহ বিভিন্ন প্রজাতির আনারস।
তাছাড়া, এখানকার আনারস সুস্বাদু হওয়ায় এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে এ ফল চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। তাছাড়া, চাষাবাদে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়ে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। চাষাবাদ বৃদ্ধির ফলে পাহাড়ি এলাকায় কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
কিন্তু, আড়তদার ও পাইকাররা জানান, করোনা আর চলমান লকডাউনের কারণে অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন জেলাতে আনারস সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া, পচনশীল এই পণ্য সংরক্ষণে স্থানীয়ভাবে কোনো হিমাগার না থাকায় লোকসানের সম্মুখীনও হতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মুনালিসা সুইটি জানালেন, চাষিদের নানা ধরনের প্রণোদনাসহ আনারস সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
এ বছর উপজেলায় ৪০৯ হেক্টরের অধিক জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। আর উৎপাদন হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮ মেট্রিক টন। উৎপাদন বেশি হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার আনারস ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান এখানকার চাষি ও পাইকাররা।