বিশ্বকে চমকে দিয়ে খুব দ্রুত কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আফগানিস্তানে ফিরতে শুরু করেছেন তালেবানের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। মঙ্গলবার কান্দাহারে ফিরেছেন সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লাহ আবদুল গনি বারাদার। এসময় উচ্ছ্বসিত জনতা তাকে অভিবাদন জানায়।
এদিকে, ক্ষমতা দখলের দুদিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে করেছেন তালেবান নেতারা। এতে দলটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথা জানান। এছাড়া নারীরা শরিয়াহ আইন অনুযায়ী তাদের ‘নিয়ম মেনে সংবাদমাধ্যমেও মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে বলেও সম্মেলনে জানানো হয়।
এসময় ২০ বছর আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানদের মধ্যে অভিজ্ঞতা, পরিপক্কতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে এ নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আফগানিস্তানের মাটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, নারীনীতি এবং দেশটির শাসন ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলা হয়।
অন্যদিকে, এতদিন আফগানিস্তানে থাকা বিদেশি বাহিনীকে সহায়তাদানকারী স্থানীয় জনগণ এবং তালেবানের শাসনভয়ে দেশ ছাড়তে মরিয়া নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উগান্ডা, যুক্তরাজ্য ও ভারত। যুক্তরাজ্য দেশটির ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার কথা জানিয়েছে। আর ভারত আফগানিস্তানে থাকা শিখ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।