ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর থেকে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে ভারতের একজন দালালকেও আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকেলে ধর্মনগরের রাজবাড়ী এলাকার আন্তরাজ্য বাস টার্মিনালে গৌহাটিগামী একটি নৈশকালীন বাস থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রের মাধ্যমে খবর আসে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আন্তরাজ্য বাস টার্মিনালে রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম সেখানে ছুটে যায় এবং বাস থেকে তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে সাতজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ, দু’জন মহিলা এবং দুটি শিশু রয়েছে।
আটকরা হলেন- আলামিন মিনা, রাহুল শেখ, আহাদ মিনা, শাহিদ্বীপ মুল্লাহ, রাজু শেখ, মোহাম্মদ মুল্লাহ, সাদিক শেখ, বিনা বেগম, কুলসুম বেগম, রফিক মিনা এবং শফিক মিনা। তাদের সঙ্গে আটক হন পশ্চিমবাংলার এক ব্যাক্তি। তার নাম তারনাম মোহিদ শেখ। পেশায় তিনি একজন দালাল।
আটকের পর তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে- মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, ভারতের ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র (আধার কার্ড)। আটকরা ভিসা বা বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলার কালিয়া থানায়।
আটকদের মধ্যে একজন জানান, তারা বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তারপর গাড়িতে করে ধর্মনগর শহরে আসেন। বাসে করে গৌহাটি হয়ে শিলিগুড়ি যাবার কথা ছিল তাদের। কাজ দেওয়ার কথা বলে পশ্চিমবাংলার মোহিদ শেখ (দালাল) তাদের ভারতে নিয়ে এসেছেন।
এদিকে পশ্চিমবাংলার মোহিদ শেখের কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে আটকরা ধর্মনগর থানায় রয়েছেন। তাদের শনিবার (২৮ মে) ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে কোনো কথা বলেনি।
সীমান্ত টপকে অবৈধভাবে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশের ঘটনায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।