ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে হত্যা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ২৩ আগস্ট প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিন। ওই সময়ই অভিযোগ তোলা হয়েছিল, পুতিনের নির্দেশে প্রিগোজিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি বলেন, ‘তিনি (পুতিন) প্রিগোজিনকে হত্যা করেছেন। অন্তত আমাদের কাছে এসব তথ্য আছে; অন্যদের কাছে নেই।’
জেলেনস্কি দাবি করেছেন, প্রিগোজিনকে হত্যার বিষয়টি প্রমাণ করেছে পুতিন ‘রাজনৈতিকভাবে দুর্বল’ হয়ে গেছেন।
মৃত্যুর দুই মাস আগে গত ২৩ জুন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাবাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন প্রিগোজিন। এদিন নিজের ২৫ হাজার সেনাকে নিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। এরপর তাদের রাজধানী মস্কোর দিকে পাঠান। এটি পুতিনের ক্ষমতার প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
যদিও বিদ্রোহের দিনই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোজিন বিদ্রোহ থামিয়ে দেন। কিন্তু এরমধ্যেই ক্ষতি হয়ে যায় পুতিনের। অনেকের মতে, ওই বিদ্রোহের কারণে তার দুর্বলতা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে নিজের অবস্থান শক্ত রাখতে প্রিগোজিনকে সরিয়ে দিয়েছেন পুতিন।
অনেকে দাবি করেন, প্রিগোজিনের ওপর প্রতিশোধ নিতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তাকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত করা হয়।