মালয়েশিয়ার ১৭তম রাজা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সুলতান ইব্রাহিম। তিনি মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য জোহরের সুলতান ছিলেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুরের জাতীয় প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। খবর রয়টার্সের।
আল-সুলতান আব্দুল্লাহর স্থলে নতুন রাজা হলেন সুলতান ইব্রাহিম (৬৫) । আহমদ শাহ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচ বছর রাজা হিসেবে দায়িত্বপালনের পর নিজ রাজ্য পাহাংয়ের প্রধান হিসেবে ফিরে গেছেন।
অভিষেকের আগে সুলতান ইব্রাহিম সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তিনি একজন সক্রিয় রাজা হতে চান। তিনি মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পেট্রলিয়াম ন্যাশনাল ও দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থাকে সরাসরি রাজার কাছে প্রতিবেদন পেশ করার প্রস্তাব করেন। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে হাই স্পিড রেল সংযোগ প্রকল্প পুনরুজ্জীবনে নিজের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
তার এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সংবিধানকে মেনেই সব ধরনের মতামত নিয়ে আলোচনা চালানো যায়।
মালয়েশিয়ায় এক অভিনব রাজতন্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। দেশটির নয়টি রাজ পরিবারের প্রধান পর্যায়ক্রমে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য মালয়েশিয়ার রাজা হন। মালয় ভাষায় ‘ইয়াং দি-পাতুয়ান আগং’ বা ‘রাজধিরাজ’ নামে পরিচিত হন তিনি।
দেশটিতে রাজতন্ত্রের ভূমিকা অনেকটা আনুষ্ঠানিক। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রাজতন্ত্রের প্রভাব বেড়েছে। যে প্রতীকী ক্ষমতা এর আগে ব্যবহার করতে হয়নি, রাজনৈতিক অস্থিশীলতার কারণে রাজাকে এখন তা ব্যবহার করতে হচ্ছে।
রাজতন্ত্রকে মূলত রাজনীতির ঊর্ধ্বের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু নতুন রাজা সুলতান ইব্রাহিম তার স্পষ্টবাদিতা ও অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্য সুপরিচিত। তিনি প্রায়ই দেশের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
রাজার মূলত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ মতোই চলার কথা। তবে ফেডারের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তারও কিছু ক্ষমতা আছে। পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা বলে যাকে তিনি বিবেচনা করবেন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার ক্ষমতা আছে তার।
সুলতান ইব্রাহিমের আবাসন থেকে শুরু করে খনি পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যাপক ব্যবসা আছে। তার সংগ্রহে বহু বিলাসবহুল গাড়ি ও মোটরবাইক আছে।