ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন। শনিবার (৯ মার্চ) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে গত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পেসিসির সেলাতান রিজেন্সিতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
প্রাদেশিক রাজধানী পাদাং এবং অন্যান্য আটটি এলাকায় বিপর্যয়ের কারণে প্রায় ৭০০ বাড়ি, অনেকগুলো সেতু ও বিদ্যালয় এবং ১১৩ হেক্টর (২৮০ একর) কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা নিকটস্থ মসজিদে জড়ো হয়েছেন। কোনো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। আশ্রয়প্রার্থীরা খাবার, পানি এবং ওষুধ পেয়েছেন। অন্যরা পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়ি ফিরে গেছেন।
সংস্থাটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে এবং বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আরও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারেও সতর্ক করেছে।
স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শনিবার রাত পর্যন্ত পেসিসির সেলাতানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। বন উজাড়ের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের ফলে দ্বীপপুঞ্জটিতে নিয়মিত বন্যাও দেখা দিচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে সুমাত্রার লেক টোবার কাছে বন্যা ও ভূমিধস কয়েক ডজন বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং একটি হোটেল ধ্বংস হয়। এতে অন্তত দুজন নিহত হন।