ইসরায়েল ইস্যুতে ইরানকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, (ইসরায়েলের ওপর) যে কোনো প্রকার হামলা ঘটলে বিশ্বের এই একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটির পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই রাষ্ট্রটির প্রতি সবসময় আমাদের সমর্থন থাকবে। ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব এবং ইরান কখনও (ইসরায়েলে হামলায়) সফল হতে পারবে না।’
‘ইসরায়েলে কোনো হামলা নয়— ইরানের উদ্দেশে আমার বার্তা এটুকুই।’
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার ইরানি কনস্যুলেটে এক বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন। হামলাটি যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) চালিয়েছিল বিভিন্ন সাক্ষ্য ও আলামতে তার প্রমাণ পাওয়া যেছে।
দাপ্তরিকভাবে ইসরায়েল এখনও এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইরান এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে ফোন করে সহিংসতার জের আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে ইরান সেই আহ্বানে সাড়া দেবে— এমন সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
কারণ, নিহত ১৩ জনের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা কুদস ফোসের সিরিয়া ও লেবানন শাখার কমান্ডারসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক চরম বৈরী। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিয়মিত ইরান মদত দেয়। এই গোষ্ঠীগুলোর মূল লক্ষ্য ইসরায়েল রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং দু’টি বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে গোষ্ঠীটি। তবে এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইরান; বরং তারা এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি মিত্রভাবাপন্ন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে চাপে রাখতে চায়।
এবং এই কৌশল অবলম্বনের মূল উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার।