গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে দু’দফায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এই তথ্য দিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
নুসেইরাত থেকে ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় একটি ছোট মেয়ে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে নুসেইরাতের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আরেকটি বাড়িতে হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালের কমপ্লেক্সে গণকবর থেকে তারা শত শত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহ তিনটি গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরাইল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। তবে এতে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানানো হচ্ছে তাদের বিক্ষোভে।