হত্যার চেষ্টার শিকার হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্য জনসভা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলিনায় আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেছেন, কমালা হ্যারিস হলেন, তার দেখা সবচেয়ে কট্টর বামপন্থি মানুষ, যিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন।
ট্রাম্পের দাবি, ‘যদি হ্যারিস জেতেন, তাহলে লাখ লাখ চাকরি রাতারাতি শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, ‘হ্যারিস জিতলে আপনাদের যা জমানো অর্থ আছে, সব চলে যাবে। আমি যখন কম্যান্ডার ইন চিফ হই, তখন বিশ্বজুড়ে আমাদের শত্রুরা বুঝে গিয়েছিল, আমেরিকাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কিন্তু নভেম্বরে কমরেড হ্যারিস যদি জেতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে।’
মূলত আগামী ৫ নভেম্বর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে, তাতে নর্থ ক্যারোলিনা হলো সুইং স্টেট। এই সুইং স্টেট যার পক্ষে যাবে, তার জেতার সম্ভাবনা তত বেশি।
এদিকে ডেমোক্র্যাট সম্মেলনে কমালা হ্যারিসের রানিংমেট টিম ওয়ালজ বলেছেন, তারা সাধারণ মানুষের জীবনকে উন্নত করবেন। মূলত তাকে বলা হয় সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
দীর্ঘদিনের ফুটবল কোচ ওয়ালজ ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনে সেই সাধারণ মানুষের কথা বললেন। তিনি দাবি করলেন, ‘আপনাদের জীবন যাতে ভালো হয়, আপনার প্রিয়জনেরা যাতে ভালো থাকেন, আপনারা যাতে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আমরা তা নিশ্চিত করব।’
ওয়ালজ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে প্রার্থিপদ গ্রহণ করেন। তিনি বলেছেন, বাচ্চারা যাতে স্কুলে গিয়ে মারা না যায়, তা তিনি দেখবেন। রিপাবলিকানরা যে স্বাধীনতার কথা বলে, সেটা নয়, আমেরিকানদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করবেন তারা।
ওয়ালজ বলেছেন, ‘আমি জীবনে কখনও এত দীর্ঘ ভাষণ দিইনি। আমি পেপ টক দিই। আমি একজন কোচ। খেলার শেষভাগ চলছে। এক গোলে হারছি। আমরা পুরোদস্তুর আক্রমণে গেছি। আমরাই মাঠে রাজত্ব করছি। আমরা যা কিছু করার মাঠে করব।’
এদিকে ডেমোক্র্যাট সম্মেলনে কমালা হ্যারিসের সমর্থনে এবং ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। এই নিয়ে পরপর ১২ বার ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনে কথা বললেন ক্লিন্টন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প স্বার্থপর, নিজেকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ঢলের সঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত সিলেটে, কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে
২৭ মিনিটের ভাষণে ক্লিন্টন আরও বলেন, ‘আমাদের পছন্দ খুব স্পষ্ট, তিনি হলেন কমালা হ্যারিস। তিনি মানুষের পাশে আছেন। আর অন্যদিকে আছেন সেই ব্যক্তি, যিনি আমি, আমাকে, আমার জন্য ছাড়া আর কিছু বোঝেন না।’
ক্লিন্টন বলেন, ‘হ্যারিসের প্রতিপক্ষ শুধু নিজেকে নিয়েই বলেন। তাই পরেরবার যখন আপনারা তার কথা শুনবেন, তখন তার মিথ্যা কথা দেখবেন না, তিনি কতবার আমি বললেন, সেটা দেখবেন।’
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রথম নারী স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, আধুনিক সময়ে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন হলো সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্সির মধ্যে একটি।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, ডেমোক্র্যাটরা কাজ করে দেখাতে পারে। আমি কমালা হ্যারিসকে চিনি। আমি জানি, তিনি তার নতুন দায়িত্বকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’