জাতিসংঘের সামিট অব দ্য ফিউচারে বক্তব্য রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, মানবতার সাফল্য নির্ভর করে সকলের সম্মিলিত শক্তির ওপর, সংঘাতের ওপর নয়।
বিশ্বজুড়ে যে সংস্থাগুলো রয়েছে তার সংস্কার প্রয়োজন যার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শান্তি ও উন্নয়ন আসবে। মানব-কেন্দ্রিক পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দীর্ঘকালীন উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘে ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’-এ নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজ আমি এখানে মানবতার ছয় ভাগের এক ভাগের মানুষের কণ্ঠস্বর নিয়ে এসেছি। আমরা ভারতে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছি এবং আমরা দেখিয়েছি যে, নিরন্তর উন্নয়ন সফল হতে পারে। আমরা সাফল্যের এই অভিজ্ঞতা গ্লোবাল সাউথের সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’
মোদি বলেন, মানবতার সাফল্য আমাদের সম্মিলিত শক্তির মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধের ময়দানে নয়। বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের স্বার্থে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘সংস্কার’ জরুরি। ‘সংস্কারই’ প্রাসঙ্গিকতার চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের শান্তির ক্ষেত্রে একটা বড় হুমকি, সেই সঙ্গেই সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে, মহাকাশে নতুন করে একটা সংঘাত দেখা যাচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আমরা এমন বিশ্বব্যপী ডিজিটাল শাসন চাই যেখানে সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) একটি সেতু হওয়া উচিত, বাধা নয়। বিশ্বের মঙ্গলের জন্য, ভারত তার ডিপিআই ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। ভারতের জন্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ একটি অঙ্গীকার।