ইসরাইলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বৈরুতে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন।
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইসরাইল। গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লেবাননে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইল।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এরপরই বৈরুতে বড় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, তারা শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দফতরসহ ১৪০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে এমন অবকাঠামো রয়েছে যা আবাসিক ভবনের নীচে তৈরি করা হয়েছিল।
ইসরাইলের সবশেষ হামলার তাণ্ডবে লেবাননের রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ উপকণ্ঠে একাধিক আবাসিক ভবন মাটির সাথে মিশে গেছে। ইসরাইল এই হামলায় ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান হত্যার ঘোষণার পর ইরানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।