ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে পেন্টাগন। ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, গ্যালান্টের বুধবারের পরিকল্পিত সফরের আগে প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলে চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। এই হামলা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই হামলার জবাবে বিকল্প কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা বিবেচনা করছে ইসরায়েলে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার হঠাৎ গ্যালান্টের সফর বাতিলের খবরটি আসে। গ্যালান্ট কেন তার সফর বাতিল করেছে সে কারণ বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন। এমনকি, এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের কার্যালয় মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, ‘আমাদের এইমাত্র জানানো হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট তার ওয়াশিংটন সফর স্থগিত করবেন।’
ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, গ্যালান্ট আশা করেছিলেন, তার মার্কিন সফর ইরান ইস্যুতে সমন্বয় জোরদার করবে। তবে তার প্রস্থানের কয়েক ঘণ্টা আগে, নেতানিয়াহু দুটি পূর্বশর্ত রেখেছিলেন: বাইডেনের সঙ্গে তার ফোনালাপ এবং ইরানে প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদন।
ইসরায়েলি সরকারের কাছে গ্যালান্টের সফর নিয়ে প্রশ্নের কথা উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ। বাইডেন ও তার সহযোগীরা সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য ফোনালাপের কথা বলে আসছিলেন। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) এই ফোনালাপ হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার বাইডেন বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ইসরায়েল এখনও ইরানকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে সে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, তিনি ইসরায়েলের অবস্থানে থাকলে ইরানের তেলক্ষেত্রে হামলার বিকল্প নিয়ে ভাবতেন।
ইরান মঙ্গলবার ইসরায়েলকে প্রতিশোধের হুমকি বাস্তবায়নের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানের অবকাঠামোতে যে কোনও ধরনের হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
একজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা উপসাগরীয় দেশগুলোর উদ্দেশে বলেছিলেন, এ ধরনের হামলা ‘গ্রহণযোগ্য নয়।’ তারা যদি তাদের আকাশসীমা ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেয় তবে এর প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।
এই সংঘাত বৃহত্তর তেল উৎপাদনকারী মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করতে পারে এই ভয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলো এর একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজছে।