সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন আহমেদ আল-শারা। গত সপ্তাহে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার পর সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো নির্বাচন নিয়ে কোনও সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বললেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সিরিয়া টিভির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করতে চার থেকে পাঁচ বছর প্রয়োজন হতে পারে বলে আমার ধারণা। কারণ, এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য দেশে যে বিশাল অবকাঠামো দরকার, তা পুনর্গঠন করতে হবে। আর এই পুনর্গঠনের কাজে সময় প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনমিতিক তথ্য একত্র করে নির্বাচনি তথ্য হালনাগাদ করবে কর্তৃপক্ষ। নইলে নির্বাচনের ফল নিয়ে সবার সন্দেহ থাকবে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের প্রায় অর্ধশতাব্দীর শাসনের অবসান ঘটানো বিদ্রোহীদের নেতা ছিলেন আল-শারা। জানুয়ারির ৩০ তারিখে তাকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন শাসন পরিচালনা হবে বলে জানিয়েছেন আল-শারা। ওই মানদণ্ডের ভিত্তিতেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে কোন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে তিনি এই সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, তা ব্যাখ্যা করেননি।
অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার মাধ্যমে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন আইন পরিষদ গঠনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন আল-শারা। এই সময় সিরিয়ার সংবিধান স্থগিত থাকবে।
জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আল-শারা আরও বলেন, সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আলোচনা করার জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক কমিটি গঠন করা হবে। এরপর যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করেন বলে মনে হবে, তারা আমন্ত্রিত হবেন।
সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে ওই সম্মেলনে এবং সেখান থেকেই সাংবিধানিক ঘোষণার চূড়ান্ত ভিত্তি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে আল-শারা বলেছিলেন, সিরিয়ার জন্য নতুন সংবিধান তৈরি করতে প্রায় তিন বছর পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে।