চীনা আমদানি পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ১০ শতাংশ শুল্কের বিরোধিতা করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ দায়ের করেছে বেইজিং। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দায়েরকৃত এই অভিযোগে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষাবাদী নীতিমূলক এই পদক্ষেপ ডব্লিউটিও-এর নিয়মের পরিপন্থি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ডব্লিউটিও-তে দাখিল করা নথিতে বেইজিং উল্লেখ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের মূল কারণ হিসেবে ফেন্টানিল ও এর রাসায়নিক উপাদানের প্রবাহ বন্ধের দাবি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই শুল্ক কেবল চীনা পণ্যের উপর প্রযোজ্য হওয়ায় এটি ডব্লিউটিও নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
১০ শতাংশ শুল্কারোপ ছাড়াও ৮০০ ডলারের কম মূল্যের আমদানি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। এই ‘ডি মিনিমিস’ সুবিধা শিন , টেমু ও আমাজনের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করত। মার্কিন শুল্ক কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, এখন থেকে চীন ও হংকং থেকে আসা প্রতিটি ছোট প্যাকেজের জন্য আগেই শুল্ক নথি দাখিল করতে হবে। নইলে কিছু চালান ফেরত পাঠানো হতে পারে।
চীনের এই অভিযোগের মাধ্যমে ডব্লিউটিও-তে একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এর আগে ২০২০ সালে, সংস্থাটির এক রায়ে ট্রাম্পের প্রথম দফার চীনবিরোধী শুল্ক নীতি বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘন করেছে বলে জানানো হয়েছিল।
তবে চীনের জন্য প্রতিকার পাওয়া কঠিন হতে পারে। কারণ ডব্লিউটিও-র আপিল বোর্ড কার্যত অকার্যকর হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র এই বোর্ডের বিচারপতি নিয়োগ আটকে রেখেছে, কারণ তারা সংস্থাটির বিচারিক ক্ষমতার সম্প্রসারণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। ফলে ২০২০ সালের মতো এবারও চীনের কার্যকর সিদ্ধান্ত পাওয়ার সম্ভাবনা কম।