সোমবার গাজা শহরের রেমাল এলাকায় রাতভর ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভরনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে লোকজন যখন তল্লাশি চালাচ্ছে, তখন একটি ছেলে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করছে। ছবি: এএফপি
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তে একাত্ম হলো দেশটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এর পরদিন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে। খবর আল জাজিরার।
দেশটির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো এই সিদ্ধান্তের আগে প্রেসিডেন্ট ও সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন জাতিসংঘের এক ঐতিহাসিক তদন্তে গাজায় যুদ্ধকে ইসরায়েলের গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং এক লাখ ৬৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে ফ্রান্স, সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে নিউইয়র্কে বৈঠক আয়োজন করছে। ফ্রান্সের সঙ্গে আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও সান মারিনোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাজ্য ও কানাডাও একই ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ১৪৭টি দেশ (জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় ৭৫ শতাংশ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবে ভোট দিয়ে পর্তুগালসহ ১৪৫টি দেশ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ অধিবেশনে ভিডিও বার্তার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানায়। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা না দেওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিরোধিতা করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, নাউরু, পালাউ ও প্যারাগুয়ে।
অন্যদিকে, লুক্সেমবার্গ জানিয়েছে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্যাংশন আরোপের পরিকল্পনাও করছে।