গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। রোববার (১৯ অক্টোবর) নানা ইস্যুতে মতবিনিময় করেন এই দুই নেতা। খবরটি নিশ্চিত করেছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক বিপর্যয় নিরসন ও গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ম্যাকরন ও সালমান।
এ সময়, ন্যায়সংগত ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ভিত্তিতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তারা। এছাড়া ফ্রান্স ও সৌদি আরবের মাঝে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন দুই নেতা।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে, গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে ধীরে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহার করবে। সেইসাথে, এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বন্দী বিনিময়, মানবিক সাহায্য প্রবেশ এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণ।
এটি ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটায়। যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। সেইসাথে, ধ্বংস হয় গাজার ৯০% বেসামরিক অবকাঠামো।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে, আরও ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে স্বীকৃতির সংখ্যা ১৫৭ তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।